ইসলামে, দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, সালাত বা নামাজ নামে পরিচিত, প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের জন্য বাধ্যতামূলক। প্রার্থনার কাজটিকে বিশ্বাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হিসাবে বিবেচনা করা হয়, কারণ এটি মুসলমানদের জন্য আল্লাহর সাথে সংযোগ স্থাপন এবং নির্দেশনা ও ক্ষমা চাওয়ার একটি উপায়। এই আর্টিকেলে আমরা নামাজের আখেরী বৈঠক কি তাৎপর্য এবং কেন প্রতিটি মুসলমানের জন্য এটি সঠিকভাবে বোঝা এবং সম্পাদন করা অপরিহার্য তা অনুসন্ধান করব।
- নামাজের আখেরী বৈঠক কি ?
- নামাজের আখেরী বৈঠক কখন করা হয়?
- আখেরী বৈঠক তাৎপর্য
- নামাজের শেষ বৈঠকের নিয়ম
আরও পড়ুন : ফজরের সুন্নাত ছুটে গেলে কখন আদায় করতে হয়
নামাজ একজন মুসলমানের জীবনের অপরিহার্য অংশ। এটি আল্লাহর সাথে সংযোগ স্থাপন এবং নির্দেশনা ও ক্ষমা চাওয়ার একটি উপায়। প্রার্থনার কাজটিতে কুরআনের আয়াত তেলাওয়াত, রুকু এবং সেজদা সহ বেশ কয়েকটি ধাপ জড়িত। যাইহোক, একটি পদক্ষেপ যা প্রায়শই উপেক্ষা করা হয় বা খুব বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় না তা হল প্রার্থনার শেষ বসা বা আখিরি বৈতক।
✨ নামাজের আখেরী বৈঠক কি ?
নামাজের আখেরী বৈঠক হল নামাজের শেষ বসা, যার মধ্যে নির্দিষ্ট দোয়া পাঠ করা, ক্ষমা প্রার্থনা করা এবং আল্লাহর কাছে দোয়া চাওয়া অন্তর্ভুক্ত। এই ধাপটি সালাতের শেষ রাকাতে সেজদার পরে করা হয়।
✨ নামাজের আখেরী বৈঠক কখন করা হয়?
ফজর, যোহর, আসর, মাগরিব এবং এশা সহ প্রতিটি ফরজ নামাজের শেষ রাকাতে নামাজের আখেরী বৈঠক করা হয়। নামাজের শেষ বৈঠকের নিয়ম
✨ নামাজের আখেরী বৈঠকের তাৎপর্য
নামাজের শেষ বসা সালাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ কারণ এটি উপাসককে আল্লাহর কাছ থেকে ক্ষমা এবং দয়া পেতে অনুমতি দেয়। এই ধাপে, মুসলমানরা তাশাহহুদ পাঠ করে, যা ঈমানের ঘোষণা এবং আল্লাহর একত্বের সাক্ষ্য। এটি নামাজের সময় জ্ঞাতসারে বা অজান্তে কৃত পাপের জন্য ক্ষমা চাওয়ার একটি সুযোগ।
✨ নামাজের শেষ বৈঠকের নিয়ম
চার রাকাত নামাজে দুই বার বসতে হয় ১ম হল দরমিয়ানী বৈঠক ও ২য় হল আখেরী বৈঠক। দুনো বৈঠকে একি নিয়মে বসতে হয়। আখেরী বৈঠক নির্দিষ্ট পদক্ষেপের সাথে জড়িত যা প্রত্যেক মুসলমানকে সঠিকভাবে পালন করার জন্য অনুসরণ করা উচিত। এখানে একটি ধাপে ধাপে নির্দেশিকা:
হযরত আয়েশা রা. বলেন,
كَانَ )رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم-( يَقُولُ فِى كُلِّ رَكْعَتَيْنِ التَّحِيَّةَ وَكَانَ يَفْرِشُ رِجْلَهُ الْيُسْرَى وَيَنْصِبُ رِجْلَهُ الْيُمْنَى. أخرجه مسلم في باب صفة الصلاة (٤٩٨) وابن أبي شيبة، (٢٩٤٣)
অর্থ: তিনি ( রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) প্রত্যেক দুই রাকাতে আত্তাহিয়্যাতু পড়তেন। এবং বাম পা বিছিয়ে দিতেন ও ডান পা খাড়া রাখতেন। মুসলিম শরীফ, হাদীস নং ৪৯৮; মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদীস নং ২৯৪৩; আবু দাউদ তায়ালিসী, হাদীস নং ১৬৫১, আব্দুর রাযযাক, হাদীস নং ৩০৫০; মুসনাদে ইসহাক, হাদীস নং ১৩৩১, মুসনাদে আহমদ, হাদীস নং ২৪০৩০, ইবনে মাজাহ,হাদীস নং ৮৯৩; আবু দাউদ, হাদীস নং ৭৮৩; আবু আওয়ানা, হাদীস নং ২০০৪।
- আপনার বাম পায়ের উপর বসুন, ডান পা খাড়া রেখে পায়ের আঙ্গুলগুলি কিবলার দিকে নির্দেশ করুন।
- আপনার উরুর উপর আপনার হাত রাখুন, ডান হাত ডান উরুর উপর এবং বাম হাত উরুর উপর ।
Leave a Reply