নামাজ মসুলমানের জন্য ফরজ। তাই আমাদের সবার নমাজ অবশ্যই পড়তে হবে। নামাজ ছাড়া আমাদের বাচার কোন উপায় নাই। দরমিয়ানী বৈঠক অবশ্যই করতে হবে। নামাজ পড়তে হলে নামাজের নিয়ম কানুন ভাল ভাবে জানতে হবে।
আরও পড়ুন : নামাজের ভিতরে বাহিরে কয় ফরজ এবং কি কি
দরমিয়ানী বৈঠক মানে কি ?
দরমিয়ানী বৈঠক মানে হল আমরা চার রাকত বিশিষ্ট যে নামাজ আদায় করি তার মধ্যে দুই বার বৈঠক করতে হয়। একটা হল দরমিয়ানী বৈঠক আরেকটা হল আখেরী বৈঠক। দুই বারের মধ্যে প্রথমে যে বার বসতে হয় তাকে দরমিয়ানী বৈঠক বলে।
নামাজে দ্বিতীয় রাকাতে আমাদের বসতে হবে, যদি না বসলে আমাদের নামাজ আদায় সম্পূর্ন হবে না। আমরা যদি এই বৈঠক করতে ভুলে যায় তাহলে সেজদা ই সাহ বা সাহু সিজদা দিতে হবে।
এই বৈঠক কতটা গরুত্বপূরণ ?
নামাজের ওয়াজিব ১৪টির মধ্যে একটি হল দরমিয়ানী বৈঠক (অর্থাৎ তিন অথবা চার রাকাতবিশিষ্ট নামাজ হলে, প্রথম দুই রাকাআতের পর বসা)। (বুখারি ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ৭৯০, আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ৮২৮) । নামাজে কোন ওয়াজিব ভুলবশত ছুটে গেলে সিজদায়ে সাহু দিতে হবে। যদি ইচ্ছাকৃত ভাবে ওয়াজিবগুলো না করেন তাহলে নামাজ পুনরায় পড়তে হবে।
নামায একটি মুসলিমের জীবনের অন্যতম প্রধান বিষয়। নামাজ আল্লাহর প্রতি বান্দার উচ্চতম আদর্শ হিসাবে প্রদর্শিত হয়েছে। নামাজের মাধ্যমে মুসলিমরা আল্লাহর নিকট অধিকার সংগ্রহ করে তাঁর কাছে তাঁর আশীর্বাদ ও কৃপা চাই এবং তাঁর সামনে নিজেদের মনের প্রশ্ন ও সমস্যা উত্থাপন করে।
তাঁর উপর ভরসা করে জীবন যাপন করেন। নামাজ করতে যখন মুসলিমরা পাঁচ ওয়াক্ত আদায় করতে হয়। এটি একটি বিশাল উপাদান যা নামাজের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নামাজে এই বৈঠক শুধু চার রাকাত এবং তিন রাকাত বিশিষ্ট নামাজের বৈঠক করা হয়। দুই রাকাত বিশিষ্ট নামাজে এই বৈঠক করা হয় না। এই বৈঠকে শুধুমাত্র তাশাহুদ পড়া হয়। তাশাহুদ শেষ করে আল্লাহু আকবর বলে দাড়িয়ে যেতে হয়।
আসুন আমরা সবাই সহী শুদ্ধ ভাবে নামাজ আদায় করার চেষ্টা করি।
Leave a Reply